টাইম ট্রাভেল বা সময়ে পরিভ্রমণ বিষয় টি নিয়ে বলতে গেলে প্রথমে এটি কি জানতে হবে। সময়ের পরিভ্রমণ হচ্ছে বর্তমান থেকে অতীতে যাওয়া বা ভবিষ্যতে যাওয়া।
এ ক্ষেত্রে বলতে গেলে সময় কি আগে জানা উচিত। সময় হচ্ছে গ্র্যাভিটেসনাল (Gravitational) বা ম্যাধ্যাকর্ষন বলের জন্যে পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহ সূর্যের চারপাশে যে গঠনে একটি নির্দিষ্ট গতিতে ঘুর্নায়মান সেটি। পৃথিবী তে অবস্থিত আমরা স্থিতি জড়তা আর খুবই ধীর গতির এই ঘুর্নন আপেক্ষিকতার জন্যে বুঝতে পারি না। কিন্তু ঘড়ির প্রতি সেকেন্ডের সাথে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একটু একটু ঘুরতে থাকে এবং এই আহ্নিক গতির কারনেই আমরা এক ধাপে সূর্যের পাশে থাকি এবং এই আহ্নিক গতি ঘুরতে ঘুরতে সূর্য থেকে দূরে সরে আবার রাত হয়। আবার রাতে প্রতি সেকেন্ডে সরণ হয়ে পৃথিবী সূর্যের দিকে আসে এবং দিন হয়। এই ঘুর্ননের পথটি বৃত্তাকার তাই ব্যাসার্ধ বরাবর পরিভ্রমণে এটি ঘটে। এটি ই দৈনিক ২৪ ঘন্টার ধারণা।
ঠিক এভাবে নিজের গোলাকার পথে যখন ৩৬৫ বার পৃথিবী ঘুরে তখনই একবার সূর্যের চারপাশে পূর্ন ঘুর্নন হয়। সেটিকে আমরা এক বছর বলি। এখন টাইম ট্রাভেল বা সময়ে পরিভ্রমণ করে অতীতে ফিরে যেতে হলে বর্তমান সময় থেকে পিছে যেতে হবে। আর ভবিষ্যতে যেতে হলে সময়কে যোগ দিতে হবে কাংখিত সময়ের সাথে। টাইম ট্রাভেল সম্পর্কে মূল ধারনা আসে আইন্সটাইনের জেনারেল রিলেটিভিটি থেকে।
এবিষয়ে মূল ধারণার কেন্দ্রে আছে চলাচল যোগ্য ওয়ার্ম হোল যা কাজ করে এলকুবাইন ড্রাইভ নামক একটি বলের দ্বারা যা কাজ করে সেমিক্লাসিকাল গ্র্যাভিটিতে কোয়ান্টাম বলের কারনে যা একটি বন্ধ লুপ বা সময়ের ঘটনার যোগে একটি বন্ধ রাস্তা তৈরি করে, যেখানে বর্তমান থেকে অতীতে গিয়ে আবার একই ঘটনা বা ভিন্ন ঘটনার যোগফলে যে বর্তমানের যে সেকেন্ড থেকে অতীতে চলে গিয়েছিল সেখানে ফেরত আসে একে টাইম ডাইলেসন বা সময়ের প্রসারণ বলে। চলাচল যোগ্য ওয়ার্মহোল হচ্ছে একটি রাস্তা যেটি দিয়ে কার্বন গঠিত জীবন চলাচল করতে পারবে অনায়েসে। আর রাস্তা তৈরি হয় এলকুবাইন ড্রাইভের মাধ্যমে যা একটি নেগেটিভ বল। এই বল ভ্যাকুয়াম থেকেও হালকা কারন এটি নেগেটিভ চার্জের বল এবং এর ঘনত্ব বেশি থেকে কম হলে শেষ বিন্দুতে ওয়ার্মহোলের দেখা মিলবে। এলকুবাইন ড্রাইভের যে নেগেটিভ বল বা এনার্জি যা দিয়ে রাস্তাটি তৈরি হয় তাকে বলা হয় এক্সোটিক ম্যাটার। মূলত ওয়ার্ম হোলের জন্য সাধারণ প্রাকৃতিক শক্তির নিয়মের ভংগ হয়। শক্তির পরিমাপ কম,বেশি,মধ্যমান বা একদম নেই বা null পরিস্থিতিতে সাধারণ ব্যবহারের পরিবর্তে শক্তির ব্যবহারের পরিবর্তন হয়। তবে এটাই স্বাভাবিক যে কোন পরিস্থিতিতে কোয়ান্টাম প্রভাবের জন্য ছোট পরিমাণের জন্যে হলেও সাধারণ প্রাকৃতিক নিয়মের ভংগ হয়। নিয়ম ভংগ হওয়ায় মূল কারন হচ্ছে আলোর থেকেও দ্রুততর গতি তে চলমান একটি তাড়িৎচৌম্বকীয় তরংগ যার কিছু অংশ তুলনামূলক অধিক ত্বরণ সম্পন্ন হয়। এই ত্বরণের কারন হচ্ছে তড়িৎচৌম্বকীয় তরংগের কিছু অংশের মধ্যে হওয়া ক্যাসিমির ইফেক্ট।
এই ইফেক্ট বা প্রভাব হচ্ছে তরংগের মধ্যে বিদ্যমান একটি ম্যাক্রন আয়তনে কিছু অংশের মধ্যকার কোয়ান্টাম ফিল্ডে তড়িৎচৌম্বকীয় তরংগের দিকের এবং আকারের পরিবর্তনের জন্য হওয়া প্রভাব। এই ক্ষুদ্র অংশের পরিবর্তন থেকে কোওসি হরাইজন তৈরি হয় যা তৈরি করে ওয়ার্ম হোলের একটি পাশের জন্য দুর্বল শক্তির দরজা, এই পুরো ব্যাপারটা করবে একটি উন্নত মানের প্রোপেইলার সিস্টেম যা সোজা হিসাবে উন্নত মানের রকেট প্রযুক্তি ।
আরেকটি মতবাদ হচ্ছে ওয়ার্ম হোলের একটি পাশ খুলবে এবং আরেকটি পাশের গ্র্যাভিটি থেকে কোয়ান্টাম ফিল্ড এর ভেতরে অবস্থিত একটি বস্তু যা অধিক গ্র্যাভিটি সম্পন্ন হবে তা ঢুকে যাবে টাইম ডাইলেশনের ক্ষেত্রে। এই সম্পূর্ণ পথ একটি বন্ধ রাস্তার মত আবদ্ধ যাকে ক্লোজড লাইক লুপ বলে। এই লুপ তৈরি হয় একটি বন্ধ রাস্তা তৈরির মাধ্যমে যা ফিল্ডের মধ্যকার বস্তুর যে সেকেন্ড টাইম ডাইলেশনের কারণে বাঁকা সরন হয় তা একটি মান ও দিক সহ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটি বাঁকা রেখা তৈরি করে যা আবার ঠিক ঐ সেকেন্ডেই ফেরত যায়। তাই একে ক্লোজড লাইক কার্ভ বলে। ক্লোজড লাইক কার্ভ সম্পর্কে প্রথম ধারণা দেন উইলিয়াম জ্যাকব ভ্যান স্টকাম ১৯৩৭ সালে যা ১৯৪৯ সালে কার্ট গডেল প্রমাণ করেন। একে বলা হয় গডেল মেট্রিক বা গডেল ইউনিভার্স।গডেল মেট্রিক দ্বারা সময়ের বন্ধ রাস্তার এ ব্যাপারটি প্রমান করে। গডেল মেট্রিক হচ্ছে নেগেটিভ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এনার্জি যা দুইটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে, একটি হচ্ছে ঘন ধুলার একটি পেচানো স্তর যা একই পরিমানে বিস্তৃত এবং আরেকটি হলো নেগেটিভ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এনার্জি যা কসমোলজিকাল কন্সট্যান্ট । এই কসমোলজিকাল কন্সট্যান্ট লম্ব বরাবর কাজ করে আর বিস্তৃতি ভূতল বরাবর। এই লুপ বা রাস্তা যখন ওয়ার্মহোল খোলে তখন রাস্তায় প্যারাডক্স সৃষ্টি হয়। যা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়ম ভংগ করে সৃষ্টি হয়। এদেরকে টেমপোরাল বা ক্ষণস্থায়ী প্যারাডক্স বলে।
বুটস্ট্র্যাপিং প্যারাডক্স হচ্ছে একটি তথ্যের বন্ধ রাস্তা যেখানে একটা প্রতিক্রিয়ার জন্য একটি কাজ হয়, যেমন একটি ঘটনা বা তথ্য বা মানুষ বা বস্তু যেটা ফলাফল হিসাবে টাইম ট্রাভেল হয় একে পূর্ব নির্ধারিত প্যারাডক্স বা প্রিডেস্টাইন্ড প্যারাডক্স ও বলে।একটি ঘটনা যেমন একজন বৃদ্ধ মহিলা এক ব্যক্তিকে একটি ঘড়ি দেয় যা সেই ব্যক্তি অতীতে গিয়ে সেই মহিলাকে ছোট থাকতে দেয় যা পরবর্তীতে তাকে দিতে পারে। কনসিস্টেন্সি মতবাদ হচ্ছে লুপে প্রবেশ করলে ভবিষ্যতের কারনে অতীতের ঘটনাতে দ্বন্দ সৃষ্টি হওয়া।
গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স এর একটি উদাহরণ যেখানে কেউ ভবিষ্যৎ থেকে অতীতে গিয়ে নিজের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে দাদাকে মারতে চেষ্টা করবে যা বর্তমানে সমস্যা সৃষ্টি করবে।এটির জন্য সমাধান হিসাবে নভিকভ সেল্ফ কনসিস্টেন্সি মতবাদ আসে ১৯৮০ সালে।যেখানে বলা হয় অতীতের কোন পরিবর্তন হলে সেই ঘটনা টি ঘটার সম্ভাবনা শুন্য বা নেই।এক্ষেত্রে একটি বিলিয়ার্ড বলের উদাহরণ দেন বিজ্ঞানি জোসেফ পচিন্সকি ১৯৯৪ সালে। তিনি বলেন একটি বিলিয়ার্ড বলকে ওয়ার্মহোল দিয়ে ছুড়ে মারলে সেটি এমন একটি এংগেল এ ছুটবে যা তার অতীতের নিজের সাথেই ধাক্কা খাবে।আর নিউকম্ব মতবাদ হচ্ছে একজন সঠিক পূর্বাভাস দিবে আকাংখা আর কৌশলগত পরিকল্পনার সাহায্যে।এই পূর্বাভাস যে দিবে তার জ্ঞান আকাংখা আর কৌশল সম্পর্কে থাকবে তাই সে সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারে। ওয়ার্মহোল ব্যবহার করে এভাবে টাইম ডাইলেশনের মাধ্যমে বন্ধ লুপের প্যারাডক্সের আচরণ মেনে টাইম ট্রাভেল করা সম্ভব। আলোর গতির থেকে দ্রুত এই ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এনার্জি আবার কোয়ান্টাম ফিজিক্সে কোন বার্তা পাঠানোর আগেই পূর্বেই পৌছে যায়।একে বলে নো কমিউনেসন মতবাদ যেখানে বার্তা টি সময়ের পিছে চলে আসে এবং পাঠানোর পূর্বেই পৌছে যায়।একে টাকিওনিক এন্টি টেলেফোন বলে।হিউ এভেরেটের মতে আসলে অনেক গুলো বিভিন্ন বা এক সময়েই অবস্থিত পৃথিবী আছে যেখানে টাইম ট্রাভেলার যে পৃথিবী থেকে পরিভ্রমণ করে সেখান থেকে অবশ্যই ভিন্ন একটি পৃথিবীতে পৌছাবে। একে মাল্টিভার্স থিওরিও বলে।এ বিষয়ে বিজ্ঞানি মারিয়ান স্কালি একটি এক্সপেরিমেন্ট করেছেন যেখানে এক জোড়া প্যাচানো প্রোটন থাকে যেগুলো দুই ভাগে বিভক্ত একটি সিগনাল প্রোটন আর আইডলর প্রোটন।এটি ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্ট যেখানে দুইটি লোকশনের একটি থেকে সিগনাল প্রোটন এর লোকেশন আর পরবর্তী আরেকটি লোকেশন এর পরিমাপ নেয়া হয়। এটা নির্ভর করে আইডলরার ফোটনের কিভাবে পরিমাপ করা হয়েছে তার উপর,এই এক্সপেরিমেন্ট দিয়ে জানা যায় সিগনাল ফোটন দুই লোকেশনের কোন জায়গা থেকে আসে এবং কোথায় সেটি মুছে যায়।এখানে সিগনাল ফোটন আর আইডলার ফোটনের মধ্যবর্তী সম্পর্কের অবস্থার পরিমাপ করা হয়।এখানে আইডলার প্রোটন মাপলেই শুধু জানা যাবে এটার সাথে সিগনাল ফোটনের সম্পর্ক।তাই এটি এখনো আক্ষরিক প্রমান বলা যায় না।
বিজ্ঞানে টাইম ট্রাভেলের বিষয়টি অনেকটা এরকম।টাইম ট্রাভেল সম্পর্কে বিভিন্ন ধর্ম, দর্শনেও এর অস্তিত্ব রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এর ধারণা এতটুকুই পাওয়া। আশা করা যায় সুদূর ভবিষ্যতে আরো সামনে সময়ের সাথে অগ্রসর হবে এর ধারণা।
Naila Huq- Scinece Writer
Leonel Pogba 3 Oct 2021
Fully agree, as long as all precautions are taken like the facemask and distancing in the photo. Bookshops are among the most vital British and that\’s not just English – and Western institutions, intellectually and recreationally.
Alex H. Hilixer 3 Oct 2021
Fully agree, as long as all precautions are taken like the facemask and distancing in the photo. Bookshops are among the most vital British and that\’s not just English – and Western institutions, intellectually and recreationally.
Alex H. Hilixer 3 Oct 2021
Agency is the ability to act autonomously and freely, and in psychology the term is often used to refer to people who feel that they are able to act independently and effectively to control their own lives.
Stifin Garlick 3 Oct 2021
Fully agree, as long as all precautions are taken like the facemask and distancing in the photo. Bookshops are among the most vital British and that’s not just English – and Western institutions, intellectually and recreationally.